বিকাশ লোন কারা পাবে
আপনার হাতের মুঠোয় এখন ব্যাংক লোন কারণ, সিটি ব্যাংক নিয়ে এলো বিকাশ গ্রাহকদের জন্য কোনো কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়া মুহূর্তেই লোন নেওয়ার সুবিধা। আপনি যদি একজন বিকাশ গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন মুহূর্তেই নিতে পারবেন। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে সকল গ্রাহক লোন নিতে পারবেনা শুধু মাত্র যেসকল গ্রাহক নিয়মিত বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে তারা এই বিকাশ লোন সুবিধা পাবে। তবে ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট বিকাশ গ্রাহকদের এই লোন সুবিধা প্রদান করবে। আপনি বিকাশ গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে এই লোন পাবেন কি না, তা জানতে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে যান। সেখান থেকে ইন্টারেস্ট রেট, প্রসেসিং ফি, লোন লিমিট, লোন পরিশোধের নিয়মাবলি, লোন পাওয়ার উপায়, লোন পাওয়ার যোগ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন।
বিকাশ থেকে কত টাকা লোন পাওয়া যায়?
এই সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন সুবিধার আওতায় একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবে। লোন এর জন্য আবেদন করলে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে এই লোনের টাকা জমা হবে এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে গ্রাহক এই লোনের টাকা সহজেই এজেন্ট এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম
ই-কেওয়াইসি (e-KYC) সম্পন্ন বিকাশ একাউন্ট ও দীর্ঘদীন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করা গ্রাহকরা বর্তমানে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নিতে পারবে। তবে এই লোনের পরিমাণ ভবিষ্যতে আরো বাড়ানো হতে পারে। আপনাকে এই সিটি ব্যাংক ও বিকাশ এর মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য বিকাশ এর একজন নিয়মিত গ্রাহক হতে হবে।
বিকাশ লোনের সুদের হার ও কিস্তি পরিশোধ নিয়ম
কেন্দ্রীয় ব্যংক বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাৎসরিক ৯% শতাংশ। বিকাশ লোনের ক্ষেত্রেও বাৎসরিক ৯% সুদের হার প্রযোজ্য হবে। বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার পর বিকাশের ড্যাশবোর্ড-এ গ্রাহক লোন পরিশোধ কিস্তির পরিমাণ ও পরিশোধের তারিখ দেখতে পাবেন। বিকাশ গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট তারিখের আগে নিজেই লোনের অর্থ পরিশোধ করতে পারেবেন, এক্ষেত্রে ইন্টারেস্টের খরচ কমের সুবিধা পাবে গ্রাহক। বিকাশ লোন গ্রহণকারীগণ ঠিক সময়ে লোনের টাকা পরিশোধ করছে কিনা, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরবর্তী লোন প্রদানের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বিবেচনা করবে। যথাসময়ে লোনের অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে বিলম্ব জন্য লোনের পরিমাণের উপর বাৎসরিক ২% হারে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে।
বিকাশ লোনের আবেদনের নিয়ম ২০২৩
প্রথমে আপনার ফোনের বিকাশ অ্যাপ প্রবেশ করতে হবে। তারপরে সচল বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিয়ে একাউন্টে লগ ইন করতে হবে। নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন সেখান থেকে লোন অপশনে ক্লিক করে যদি আপনার একাউন্ট ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করা থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তী পেজে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে আপনি লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সাথে সাথেই সহজেই লোন পাবেন। ৩ মাস মেয়াদী এই লোনের জন্য কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত লাগবে না এবং কোনো কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই আপনি লোন পেয়ে যাবেন। লোন এর অর্থ পরিশোধ এর জন্য বিকাশ একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-কিস্তি পরিশোধের সুবিধা পাবেন।
বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার উপায়
আশা করি বিকাশ থেকে কিভাবে লোন নিতে হয় তা আপনি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। বিকাশ লোন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে আমাদের বলতে পারেন আমরা তার যথাযত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনার বন্ধু ও পরিবার সাথে আমাদের আর্টিকেল গুলো শেয়ার করে তাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিন।
Post Tag: BKASH DIGITAL LOAN, বিকাশ লোন, বিকাশ ডিজিটাল ঋণ, বিকাশ ডিজিটাল লোন, সিটি ব্যাংক বিকাশ লোন, মোবাইল ব্যাংক লোন